শুভসন্ধ্যায় গোসলে নেমে নিখোঁজ মামা-ভাগনির মরদেহ উদ্ধার

বরগুনার তালতলী উপজেলার শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ মামা-ভাগনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা হলেন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) জুনিয়র ফিল্ড অফিসার মো. মোস্তফা কাদের (৪৫) ও তার ভাগনি নুর আক্তার জুঁই (১৭)।
 
বুধবার (১৩ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে মো. মোস্তফা কাদের ও বিকাল ৪টার দিকে নুর আক্তার জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বেলা ১২টার দিকে গোসল নেমে নিখোঁজ হন তারা। মো. মোস্তফা কাদের তালতলী এলাকায় কর্মরত থাকলেও তাদের দু’জনের বাড়ি রাজশাহী।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার সকালে মো. মোস্তফা কাদের পরিবারের পাঁচ জন সদস্য নিয়ে তালতলী শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসেন। পরে তারা সবাই সমুদ্রে গোসল করতে নামেন। সমুদ্র উত্তাল থাকায় ঢেউয়ের কবলে পড়েন তারা। এ সময় তিন জন সমুদ্র থেকে কিনারার উঠতে পারলেও বাকি দুই জন ভেসে যান। 

তাৎক্ষনিক স্থানীয় এলাকাবাসী নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করেন। এরপর পটুয়াখালীর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল, তালতলী ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। পরে  ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে খোঁজ করে সৈকতের অদূরে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়ার মরানিদ্রা এলাকা থেকে বিকাল ৪টার দিকে নুর আক্তার জুঁইয়ের মরদেহ ও বিকাল পাঁচটার দিকে একই স্থান থেকে মো. মোস্তফা কাদেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তালতলী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার আহসান হাবিব বলেন, ঘটনা খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এছাড়া পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকেও খবর দেওয়া হয়। দুপুর ১টার দিকে আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করি। উদ্ধার অভিযানের এক পর্যায়ে আমরা প্রথমে নুর আক্তার জুঁই ও পরে মো. মোস্তফা কাদেরের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।