সহিংসতায় নৌকার সমর্থক নিহত, বিদ্রোহী প্রার্থীসহ গ্রেফতার ৩

পটুয়াখালীর বাউফলে নির্বাচনি সহিংসতায় গুরুতর আহত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক আমির হোসেন মৃধা (৭০) মারা গেছেন। সোমবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

এদিকে ঘটনার পর বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম মহসিন ও তার দুই সমর্থককে জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার অন্যরা হলেন- জহির খান (৩০) ও ফারুক হোসেন (৪০)। তাদের মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে পটুয়াখালী আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৭ জুলাই বাউফল উপজেলার নাজিরপুর উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। গত ৮ জুলাই বিকালে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকের সমর্থকরা মোটরসাইকেল বহর বের করেন। বহরটি নাজিরপুর বাংলা বাজার থেকে তাঁতেরকাঠি সেতুর কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আসা বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম মহসিনের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। গুরুতর আহত আমির হোসেনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয়েছে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুক বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম মহসিনের নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের মিছিলে হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আমির হোসেন গতকাল মারা গেছেন। তিনি নৌকার সমর্থক ছিলেন। আওয়ামী লীগের মুখোশধারী একদল ব্যক্তি বিদ্রোহী প্রার্থীকে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছেন।’

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানান, এ ঘটনায় ৯ জুলাই আমির হোসেনের ছেলে শামীম মৃধা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় ২৩ জনের নাম উল্লেখ ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এজাহারে বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম মহসিনের নাম উল্লেখ ছিল না। তবে তদন্তের জন্য তাকেসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আজ পটুয়াখালী আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নাজিরপুর-তাতেরকাঠি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আমির হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়। এই পদে আগামী ২৭ জুলাই নাজিরপুরে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।