বাড়ি থেকে ১০০ কিমি দূরে মাকে ফেলে গেলো ছেলে

বারিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডের পাশে পড়ে থাকা ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে তার জ্ঞান ফেরে।

বৃদ্ধা জানান, তার নাম মাজেদা বেগম। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার চান মিয়া মৃধার স্ত্রী এবং তার ছেলের নাম শাহে আলম মৃধা। তার ছেলে ও পুত্রবধূ তাকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে নিয়ে এসে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাটাজোর এলাকার একটি টাওয়ারের কাছে এক বৃদ্ধাকে কাতরাতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী টাওয়ারের গার্ড রুমে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী মো. শিপন যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পেয়ে তার কয়েকজন বন্ধু মিলে ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। সেখান থেকে রাত ৩টার দিকে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বাড়ি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের সড়কে মাকে ফেলে যান ছেলে ও পুত্রবধূ।

শিপন বলেন, বন্ধুদের নিয়ে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। আজ জ্ঞান ফেরার পর হাসপাতাল শয্যায় নিজের নাম পরিচয় জানান। তাকে চিকিৎসার করানোর কথা বলে ছেলে ও পুত্রবধূ নিয়ে এসে ওই স্থানে ফেলে যায় বলে অভিযোগ করেন।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. তৌকির আহমেদ জানান, তার শরীর খুবই দুর্বল। গায়ে সামান্য জ্বরও রয়েছে। তাকে সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি খুবই অমানবিক। প্রথমে বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসা প্রদানসহ আশ্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। একইসঙ্গে তার সঙ্গে যারা অমানবিক আচরণ করেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।