ভোলায় বিএনপির হরতাল প্রত্যাহার

ভোলায় বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার পর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রেস ব্রিফিং শেষে হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, জনদুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে আমরা হরতাল প্রত্যাহার করে নিয়েছি।    

অন্যদিকে জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে রবিবার (৩১ জুলাই) ভোলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে হওয়া সংঘর্ষ ও দুই জন নিহতের ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি অভিযোগ করেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের দুই নেতা নিহত হয়েছেন।

সকাল থেকে হরতালের সমর্থনে শহরে খণ্ড খণ্ডভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেন দলটির নেতাকর্মীরা। হরতালে শহরের দোকানপাট বন্ধ ছিল। বিশৃঙ্খলা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। এছাড়া সড়কে ছিল র‌্যাব ও পুলিশের টহল। সকাল থেকে সড়কে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও ছিল কম। সীমিত আকারে চলেছে যানবাহন। লঞ্চ ও ফেরি চলাচল ছিল স্বাভাবিক।  

এরআগে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একটি দল ভোলা এসে পৌঁছে। তারা জেলা নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে গত রবিবারের ঘটনা শোনেন। পরে তারা জেলা বিএনপির অফিসে প্রেস ব্রিফিং করেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, শামসুজ্জামান দুুদু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।  
 
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার (৩১ জুলাই) ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ ঘটে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আবদুর রহিম প্রাণ হারান। এ ঘটনায় পুলিশ ও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। গুলিবিদ্ধদের একজন ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম। ঢাকার এক হাসপাতালে লাইফসাপোর্টে থাকা অবস্থায় বুধবার (৩ আগস্ট) তিনি মারা যান। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।