বেতাগীতে বাঁধ ভেঙে ৩ গ্রাম প্লাবিত

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় পূর্ণিমার জোয়ার ও অতি বর্ষণে বিষখালী নদীতে পানি বেড়েছে। এতে বেড়িবাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। কৃষি ও মৎস্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় চাষিরা।

সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে জোয়ারের পানিতে উপজেলার কেওড়াবুনিয়া, গাবুয়া ও ছোট মোকামিয়া গ্রাম  প্লাবিত হয়। এসব গ্রামের বাড়ির আঙিনায় পানি থই থই করছে। বাঁধ ভেঙে নদীর পানি ধানক্ষেতে প্রবেশ করে আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে কয়েকটি মাছের ঘের।

এর আগে রবিবার দিবাগদ রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এই বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এরপর একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। বাঁধটি মেরামত না করা হলে আরও গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বেতাগী উপজেলার গাবুয়া গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল বলেন, ‌‘সকালে উঠে দেখি বাড়ির উঠানে পানি জমে আছে। দুপুর হতে হতেই পুরো ঘরের মধ্যে পানি উঠে গেছে।’

পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার

কেওড়াবুনিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিষখালী নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে জমিতে পানি ঢুকে আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। পানি স্থায়ী হলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।’

একই গ্রামের বাসিন্দা আমেনা আক্তার বলেন, ‘বেড়িবাঁধ ভেঙে ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। আমরা এখন পানিবন্দি। রান্নাও বন্ধ রয়েছে। পোলা-মাইয়া লইয়া কী খামু কইতে পারি না।’

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ভাঙা বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।’

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি, পূর্ণিমা ও বৈরী আবহাওয়ায় পানি বাড়ায় জেলার কয়েক এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যেসব এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে তা দ্রুতই মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বিষখালী নদীর পানির উচ্চতা গত কয়েক দিন ধরে বেশি রয়েছে। বৃষ্টি না কমলে প্রত্যেক জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’