ছাত্রদল নেতার মারধরে থ্রি-হুইলার চালক নিহতের অভিযোগ

বরিশাল নগরীতে থ্রি-হুইলার চালক শাহ আলমকে (৪০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে ফল আড়তদার ও ছাত্রদল নেতা সুজন খানের বিরুদ্ধে। নিহত ব্যক্তি নগরীর রসুলপুর এলাকার মোসলেম হাওলাদারের ছেলে। সোমবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছিল।

অভিযুক্ত সুজন ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও নগরীর পোর্ট রোডের ফলের আড়ত ‘সুজন বাণিজ্য ভান্ডারের’ মালিক। নিহত ব্যক্তি আগে সুজনের আড়তের কর্মচারী ছিলেন। পরে থ্রি-হুইলার চালানো শুরু করেন।

নিহতের স্বজন মো. শুভ জানান, এক থেকে দেড় হাজার টাকা পাওনা ছিল সুজন। এ জন্য প্রায়ই তাগাদা দিতেন। রবিবার রাতে থ্রি-হুইলার চালিয়ে আসার পথে সুজন ও তার কর্মচারীরা শাহ আলমের গতিরোধ করেন। এরপর থ্রি-হুইলারসহ শাহ আলমকে নিয়ে যান ফলের আড়তে। সেখানে বকেয়া টাকার জন্য দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সুজন ও তার কর্মচারীরা শাহ আলমকে মারধর করে থ্রি-হুইলার আটকে তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। টাকা পরিশোধের পর গাড়ি নিতে বলেন।

তিনি রসুলপুর নিজ বাসায় আসার পথে সড়কে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ১২টায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি লোকমান হোসেন বলেন, শাহ আলমের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন ফলের আড়তদার সুজন খান তাকে মারধর করার পর মারা গেছে। বিষয়টি শোনার পর আজ সকালে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত করে রাতে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। এর আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।