ধরা খেয়ে পুলিশ পরিচয় দিলেন পকেটমার, পরে জানালেন হত্যার আসামি

ঢাকা থেকে বরিশালগামী পারাবত-১২ লঞ্চ থেকে রিপন ইসলাম নামে এক পকেটমারকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর নৌ-পুলিশ জানতে পারে তিনি হত্যা মামলার পলাতক আসামি। আটক ব্যক্তি পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জের গিলাবুনিয়া এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহরাব সিকদারের ছেলে।

পকেটমার হিসেবে ধরা পড়ার পর নিজেকে পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। তার ব্যাগে ইংরেজিতে পুলিশ লেখা ছিল। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক তরুণীকেও আটক করে পুলিশ। দাবি করেন, তারা স্বামী-স্ত্রী।

জানা গেছে, রিপনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। ওই মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি আছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে তাকে পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।

বরিশাল নৌ-থানা পুলিশের ওসি হাসানাত জামান বলেন, ‘মীর্জাগঞ্জ পুলিশ তাকে বরগুনায় থানায় সোপর্দ করবে। এ ছাড়া তার সঙ্গে আটক তরুণীকে মা-বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’

পারাবাত-১২ লঞ্চের সুপারভাইজার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রিপন একজন পেশাদার চোর। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের দুজনকে আটক করা হয়। ওই লঞ্চে ডেকের যাত্রী হয়ে একইভাবে চুরি করে পুলিশ পরিচয়ে সটকে পড়ে। তবে তখন সিসি ক্যামেরা না থাকায় তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এবারও একইভাবে পুলিশ পরিচয়ে দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ওই দুজনকে আটকে রাখা হয়। শনিবার সকালে বরিশাল আসার পর তাদের নৌ-পুলিশে সোপর্দ করা হয়।’

নৌ-থানা পুলিশের ওসি হাসানাত জামান বলেন, ‘শুক্রবার ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালগামী পারাবত-১২ লঞ্চের ডেকে ওঠে রিপন ও তানিয়া। এরপর তার পার্শ্ববর্তী যাত্রী শহিদুলের মানিব্যাগ চুরি করে। ভুক্তভোগী বিষয়টি কর্মচারীদের জানান। ওই সময় চোর সন্দেহে আটক রিপন ও তানিয়াকে জিজ্ঞাসা করলে তারা অস্বীকার করে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় রিপন তার মানিব্যাগ চুরি করেছে। আজ সকালে লঞ্চ বরিশাল ঘাটে ভিড়লে ওই দুজনকে নৌ-পুলিশে সোপর্দ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ পরিচয় দেওয়া রিপন মানিব্যাগ থেকে ৫০০ টাকা চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে শহিদুল দাবি করেছে মানিব্যাগে ১৮০০ টাকা ছিল। এদিকে যে যাত্রীর মানিব্যাগ চুরি হয়েছে সে কোনও মামলা করতে চাচ্ছেন না। তবে রিপনের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটির কোনও কাগজপত্র না থাকায় ট্রাফিক পুলিশ ডেকে গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জব্দ করা হয়। অপরদিকে তার বিরুদ্ধে মীর্জাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে স্বীকার করেছে। তাকে মীর্জাগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।’