প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চা দোকানি পেলেন সহায়তা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কাউখালীর নারী দোকানি শিপ্রাকুণ্ডকে এক লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছেন পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু পরিদর্শনে গেলে কাউখালীর বেকুটিয়া প্রান্তে থাকা ক্ষুদ্র নারী ব্যবসায়ী শিপ্রাকুণ্ডকে এ টাকা দেন তিনি। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. খালেদা খাতুন রেখা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউএনও খালেদা খাতুন রেখা বলেন, পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে শিপ্রাকুণ্ডকে এক লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছেন। সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে আমি এ টাকা শিপ্রাকুণ্ডর হাতে তুলে দিয়েছি।

উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু বলেন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দীর্ঘদিন এ এলাকার সংসদ সদস্য থেকে মানুষকে সহায়তা দিয়ে আসছেন। 

সহায়তার টাকা হাতে পেয়ে শিপ্রাকুণ্ড বলেন, আমি দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। দোয়া করি সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জন্য। সহায়তা পাওয়ায় আমার চা বিস্কুটের দোকান আরও ভালোভাবে চালাতে পারবো। প্রসঙ্গত ‘নারী দোকানিকে সহায়তা দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী’ শিরোনামে একটি সংবাদ বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশ হয়।

পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের সময় কাউখালীর ক্ষুদ্র নারী ব্যবসায়ী শিপ্রাকুণ্ডর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় দোকানি শিপ্রা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘বেকুটিয়া ফেরিঘাটে আমার একটি চায়ের দোকান ছিল। সেতু হওয়ার পরে চায়ের দোকানটি সেতুর কাছে নিয়ে আসি। আমার সংসারের কাজ শেষ করে দোকানে চা-বিস্কুট বিক্রি করি, এখানে অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ঘুরতে আসেন। আমার স্বামী একজন দিনমজুর। আমরা দু’জনে মিলে দোকানটি শুরু করেছি।’

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ব্যবসায়ীর সাফল্য কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি সেতু হওয়ার কারণে লোকজনের চলাচল বাড়বে, চায়ের দোকানটিও ভালো হবে।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে শিপ্রাকুণ্ডর চায়ের দোকানটি যাতে ভালোভাবে চলে সে জন্য সহায়তা দিতেও বলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুতে ১০টি পিয়ার ও ৯টি স্প্যান রয়েছে। ৮৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা চীন সরকার এবং বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে। গত ৭ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সেতুর হস্তান্তর সনদ চুক্তিতে সই করেন।