পুরোনো ঘর ভাঙতে গিয়ে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

বরগুনার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ কদমতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মারা যাওয়া ও আহত সবাই একই পরিবারের সদস্য।

মারা যাওয়া তিন জন হলেন- রবিউল (১৬), হেলাল (৩৫) ও বেলায়েত হোসেন(২৬)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরিফ হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হতাহতদের স্বজনরা জানান, নতুন ঘর তোলার জন্য পুরোনো ঘর ভেঙে ফেলার কাজ চলছিল। এই সময় ঘরের চালের একটি টিন গিয়ে বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে। এই সময় টিনটি ধরে থাকা অবস্থায়  রবিউল, হেলাল ও বেলায়েত হোসেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাদের বাঁচাতে গেলে আরিফ হোসেনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাৎক্ষণিক স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের এখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় চার জনকে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হই, তিন জন মারা মারা গেছে। এ ছাড়াও একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন বলেন, নতুন ঘর ওঠানোর জন্য পুরনো টিনগুলো নামাতে গিয়ে তিন জনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। জেলা প্রশাসক থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ইতিমধ্যে এই পরিবারের ২৫ হাজার টাকা করে ৭৫ হাজার টাকা দাফনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসন থেকেও যোগাযোগ করে খোঁজ নিয়েছে। পরিবার তিনটির সাহায্যের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ সবসময় পাশে থাকবে। 

বরগুনা সদর থানা ওসি আলী আহমেদ বলেন, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে গিয়েছিলাম। খুবই মর্মান্তিক। আমরা যতটা জানতে পেরেছি, নতুন ঘর নির্মাণের জন্য পুরোনো ঘর ভেঙে ফেলার কাজ চলছিল- এই সময় বিদ্যুতের তারের ওপর গিয়ে টিন পড়লে শর্ট সার্কিটে তিন জন মারা যান। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।