ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি, বরিশালে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় ‌সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালে রাত থেকে টানা বর্ষণ চলছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো বাতাস। নদ-নদীতেও পানি বেড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী সব লঞ্চ।

রবিবার মধ্যরাতে থেকে টানা বৃষ্টিতে বরিশাল নগরীর অলিগলি ডুবে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না।

সোমবার দুপুরে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশাল নদী বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ৬৫ ফুটের নিচের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানান, সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালে গতরাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মাঝে দমকা বাতাস বইছে। রবিবার রাত ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ৭১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী দুই-তিন দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় এক হাজার ৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এসব কেন্দ্রে দুই লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলার সব স্থানে মাইকিং ও আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টসহ সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে।

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান জানান, বিভাগের ছয় জেলার জেলা প্রশাসককে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে একাধিক মেডিক্যাল টিম ও স্বেচ্ছাসেবীরা।