বিএনপির সমাবেশের আগে বরিশালে বাস ধর্মঘট

মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও থ্রি হুইলারসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ। তবে ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচালে এই অপকৌশল নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন বলেন, বাস মালিকরা এতদিন সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল করতে দেখেনি? বিএনপির গণসমাবেশের আগে তাদের এ ধরনের উদ্যোগ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।  

তিনি আরও অভিযোগ করেন, এর আগে একই কায়দায় খুলনা ও ময়মনসিংহে বিএনপির গণসমাবেশের আগেও পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়।

এদিকে বাস বন্ধের বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে অবৈধ যান নসিমন-করিমন ও ভটভটি, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের থ্রি হুইলার এবং রোড পারমিটবিহীন দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে। ২০২০ সালের ২৯ মে সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সব ধরনের অবৈধ যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু বর্তমানে মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল করছে এবং দিন দিন এর সংখ্যা বাড়ছে। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় থ্রি হুইলারের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়। 

যাত্রী সাধারণের নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষ্যে ৩ নভেম্বরের মধ্যে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ না হলে ৪ থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

বিএনপির সমাবেশের আগে ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, এখানে বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে কিছুই করা হচ্ছে না। আমাদের এ দাবি দীর্ঘদিনের। দাবি মানা না হলে ৪ ও ৫ নভেম্বর বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

স্মারকলিপির অনুলিপি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, র‌্যাব-৮ অধিনায়ক, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়।