জাহাজ ডুবে ১০ কোটি টাকার পেট্রোল-অকটেন ভাসছে মেঘনায়

১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও অকটেন নিয়ে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজ ‘সাগর নন্দিনী-২’কে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জাহাজটি উদ্ধারে তিন জাহাজ ও দুটি বার্জ গেলেও উদ্ধার করা যায়নি। ডুবন্ত জাহাজ থেকে মেঘনায় ছড়িয়ে পড়ছে তেল। পানির ওপর থকথক করছে তেলের আস্তর। এতে নদীতে মাছ শিকার করতে পারছেন না জেলেরা। তারা তেলের ঝাঁজে নাকাল হয়ে পড়েছেন। মেঘনার তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা দুদিন ধরে মেঘনার পানি ব্যবহার করছেন না। রয়েছে নদী দূষণের আশঙ্কা।

ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পর্যন্ত এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি বিআইডব্লিউটিএ, একটি পেট্রোবাংলা অপরটি গঠন করেছে পদ্মা ওয়েল কোম্পানি। তিন কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে আসা জেলে মো. রুবেল জানান, গত দুদিন ধরে তেলের ঝাঁজের কারণে তিনি মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তাকে দৌলতখান উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করতে হচ্ছে।

তুলাতলি মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, তিনি সবসময়ই মেঘনা নদীতে গোসল করতেন। কিন্তু দুদিন ধরে তিনি নদীতে গোসল করতে পারছেন না।

বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-সংরক্ষণ পরিচালক ও পরিচালন বিভাগের মো. শাহাজাহান জানান, দুর্ঘটনাকবলিত সাগর নন্দিনী-২ মেরিন আইন ভঙ্গ করেছে। প্রকৃত চালক জাহাজে ছিলেন না। মেরিন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় সাগর নন্দিনী-২ এর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

উল্লেখ্য, রবিবার ভোরে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে তেলবাহী জাহাজ ‘সাগর নন্দিনী-২’ এর সঙ্গে নোঙর করা আরেকটি জাহাজের সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে সাগর নন্দিনী জাহাজের পেছনের তলা ফেটে তা পানিতে নিমজ্জিত হয়। জাহাজে থাকা মাস্টারসহ ১৩ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। মেঘনার পানিতে ভেসে যায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল ছিল। যার বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকার ওপরে।