ভালোবাসায় রঙিন কুয়াকাটা সৈকত 

বসন্তের প্রথমদিন আর ভালোবাসা দিবস উদযাপনে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা মুখর হাজারও পর্যটকে। তাদের অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। পর্যটকদের পদচারণায় সৈকতজুড়ে চলছে উৎসব। 

তারা সেজেছেন রঙিন পোশাকে। কেউ খোঁপা বেঁধেছেন ফুল দিয়ে। অনেকেই প্রিয়জনের জন্য কিনছেন ফুল। সেই ফুল প্রিয়জনকে উপহার দিচ্ছেন বিভিন্ন ভঙ্গিতে, আর তা স্মৃতি হিসেবে ক্যামেরায় বন্দি করছেন ফটোগ্রাফাররা। সৈকতে প্রিয়জনের সঙ্গে অনেকেই তুলছেন সেলফি। অনেকে আবার ঘুরছেন ঘোড়ায় কিংবা ওয়াটার বাইকে। কুয়াকাটার অন্যান্য পর্যটন স্পটেও রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছ্বসিত উপস্থিতি।

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

বেনাপোল থেকে আসা পর্যটক মুসফিক বলেন, ‘কুয়াকাটায় প্রথম এসেছি। তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছে। ভালোবাসা দিকসটি স্মরণীয় করে রাখতে স্ত্রীকে নিয়ে কুয়াকাটা এসেছি। গোলাপ ফুলসহ বিভিন্ন উপহার দিয়েছি স্ত্রীকে। ফটোগ্রাফার আমাদের উপহার দেওয়ার ছবি তুলে দিয়েছে। এখানে এসে প্রকৃতির মধ্যে দিনটি খুব ভালো কাটছে।’ 

kuakata

মেহেরপুর থেকে এসেছেন সোলায়মান-সোনিয়া দম্পতি। সোনিয়া বলেন, ‘আমরা গতকালই কুয়াকাটায় এসেছি। এখানে সৈকতে বসে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করছি। আমরা ইতোমধ্যে লাল কাঁকড়ার চর, চর গঙ্গামতি এবং ঝাউবন ঘুরেছি। বেশ আনন্দ করেছি।’

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে যেরকম পর্যটক আসার কথা ছিল তেমন আসেনি। কুয়াকাটার হোটেলগুলো ৫০/৬০ পার্সেন্টের মতো বুকিং হয়েছে। সরকারি ছুটির দিনে এর চেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে কুয়াকাটায়। তবে অন্য দিনের চেয়ে আজ একটু বেশি পর্যটক রয়েছে।’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘সপ্তাহের প্রথমদিকে তেমন পর্যটক থাকে না। তবে গতদিনের তুলনায় আজ পর্যটক বেশি। আমাদের বেশ কিছু হোটেল বুকিং রয়েছে।’

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে বিভিন্ন স্পটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে টহল টিম রয়েছে।