বিএনপির পদবঞ্চিতদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০

বরিশালের মুলাদী পৌরসভা এলাকায় বিএনপি ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দায়ী করছে। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মুলাদী পৌরসভার ফেয়ার ক্লিনিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের মিছিলে থাকা ইমরান, রাজিব, আবিদ খান ও রাকিব খানসহ পাঁচ জন এবং বিএনপির মিছিলে থাকা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবিদুর শরীফ, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি রব খানসহ পাঁচ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী হুমায়ুন কবির বলেন, আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মুলাদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন দলটির পদবঞ্চিতরা। তারা পৌরসভার সামনে থেকে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহ ও সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মুকুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

তিনি দাবি করেন, মুলাদী সরকারি কলেজের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে আনন্দ মিছিল বের করে কলেজ, উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগ। দুই মিছিল ফেয়ার ক্লিনিক এলাকায় মুখোমুখি হলে ছাত্রলীগের মিছিল থেকে ধর ধর বলে ডাক-চিৎকার দেওয়া হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ছোটাছুটি শুরু করলে তাদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

হুমায়ুন কবির আরও দাবি করেন, একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সত্তার খানের বাসায় আশ্রয় নেন। এ সময় ওই বাসার পাশ থেকে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল যাওয়ার সময় তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হন। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সত্তার খান দাবি করেন, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তাতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। তারা নেতাকর্মীদের মারধর করে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দিয়েছে। এতে বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়।

ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি যোবায়ের আহমেদ ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাওলাদার দাবি করেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আনন্দ মিছিলে হামলা চালিয়েছে বিএনপি। এমনকি বিএনপি নেতা সত্তার খানের বাসভবন থেকে ছাত্রলীগের মিছিলে ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

মুলাদী থানার ওসি তুষার কুমার মন্ডল জানান, বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়ে কোনও কিছুই জানায়নি। এরপর সংঘর্ষ বড় আকার ধারণ করার আগেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।