বিয়ে করতে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশে এসে সফল হলেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী নিকি উল ফিয়া। এসেই পটুয়াখালীর প্রেমিক ইমরানকে বিয়ে করেছেন। ছেলের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নে। এর আগেও একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন এই তরুণী। তবে সে সময় প্রেমিকের বয়স বিয়ের উপযুক্ত না হওয়ায় ফিরে যেতে হয়েছিল।

marrige1

জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিমানযোগে বাংলাদেশে আসেন নিকি। বুধবার পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এক ডলারের মান অনুযায়ী ১০১ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। বুধবার রাত ৮টার সময় স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম বিয়ে পড়ান। এরপর বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে গায়ে হলুদ। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ইমরান জেলার বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। এছাড়া নিকি উল ফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর মেয়ে। তার মায়ের নাম শ্রীআনি।

marrige4

ইমরান হোসেন বলেন, নিকি সোমবার রাতে বাংলাদেশে আসে। এরপর বুধবার সকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এফিডেভিট করে তাকে বিয়ের জন্য বাড়িতে নিয়ে আসি। দুজনের ইচ্ছায় এক ডলার মান হিসাব করে ১০১ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করি।

ইন্দোনেশিয়ান তরুণী নিকি উল ফিয়া বলেন, বাংলাদেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকের দিনের জন্য আমি খুব খুশি এবং আমি সারা জীবন বাংলাদেশে থেকে যাবো।

marrige2

ইমরানের মামা কবির বলেন, অনেক বছর আগে ইমরানের সঙ্গে বিদেশি মেয়ে নিকির পরিচয় হয়। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের আয়োজন চলছে। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী এই দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ফেসবুকে নিকির সঙ্গে পরিচয় হয় ইমরানের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইমরানকে বিয়ে করার জন্য বাউফলে চলে আসেন নিকি। পরে বয়সের কারণে তাকে ফিরে যেতে হয়। তবে হাল ছাড়েনি নিকি। সে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যায়। একপর্যায়ে দুই পরিবারের মধ্যেও চলে কথাবার্তা। পরে দুই পরিবারের অনুমতিতেই বিয়ে হয়।