তিনতলা ভবনের আগুন নেভানোর সক্ষমতা নেই ভোলার ফায়ার সার্ভিসের

দ্বীপজেলা ভোলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যেন ধুঁকছে। দুর্ঘটনায় কোনও ভবনের দ্বিতীয় তলার ওপরে ওঠার সক্ষমতা রাখে না জেলা ফায়ার সার্ভিস। এমনকি দ্রুত উদ্ধারকাজের জন্য নেই স্পিডবোট ও ডুবুরি দল। সে ক্ষেত্রে সহায়তা নিতে হয় কোস্টগার্ডের।

ভোলা সদরসহ জেলার সাত উপজেলাতেই রয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। এর মধ্যে ভোলা সদর, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরায় দ্বিতীয় শ্রেণির এবং দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন উপজেলা তৃতীয় শ্রেণির স্টেশন রয়েছে।

ভোলা জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক জানান, নভেম্বর থেকে এপ্রিল এই ছয় মাসকে অগ্নিঝুঁকির মাস ধরা হয়। গত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার মাসে ভোলায় ৭৬টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় যেকোনও দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজে ভবনের চার-পাঁচ তলায় ওঠার মতো মই থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের সে সক্ষমতা নেই। আমরা দুইতলা পর্যন্ত কাজ করতে পারি, এর বাইরে আমাদের সক্ষমতা নেই।’

অনেক সড়ক দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ উদ্ধার কাজে যায়। ভোলা নদীবেষ্টিত জেলা হলেও এখানে ফায়ার সার্ভিসের নেই নিজস্ব স্পিডবোট ও ডুবুরি দল। ফলে উদ্ধারকাজে প্রশাসনের সহযোগিতায় কোস্টগার্ড থেকে ডুবুরি ও স্পিডবোট সংগ্রহ করতে হয়।

তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় শ্রেণির স্টেশন হিসেবে ভোলায় দুটি সেকেন্ড কল গাড়ি থাকার কথা থাকলেও আছে একটি। অ্যাম্বুলেন্স থাকার কথা থাকলেও তা নেই। বর্তমানে অন্য জায়গা থেকে অ্যাম্বুলেন্স এনে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

উপ-সহকারী পরিচালক বলেন, ‘ভোলার জন্য স্পিডবোট ও ডুবুরির প্রয়োজন রয়েছে। সেইসঙ্গে আরও দুটি গাড়ির ব্যবস্থা হলে ভোলায় যেকানও দুর্ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সুবিধা হবে।’