বরিশালের মুগ্ধতায় প্রমোদতরির পর্যটকরা

দ্বিতীয়বারের মতো বরিশালের রকেট ঘাটে ভিড়লো ভারতীয় প্রমোদতরী গঙ্গাবিলাস। তবে এবারে পর্যটক ছিল ছয় জন। তাদের সঙ্গে ক্রু রয়েছেন ৩৬ জন। 

এর আগে ঘুরে যাওয়া ২৮ পর্যটক বাংলাদেশ এবং বরিশালের বিভিন্ন পর্যটন স্পট নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আবারও বরিশালে পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখতে এসেছেন চার জন সুইজারল্যান্ড এবং দুইজন জার্মানি নাগরিক।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গঙ্গাবিলাস ভিড়ানোর পর জেলা ও টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর ছয় পর্যটক অক্সফোর্ড মিশন চার্চ দেখতে যান। সেখানে প্রার্থনা শেষে আবার জাহাজে ফিরে আসেন।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে মাইক্রোবাসযোগে বানারীপাড়া উপজেলায় ভাসমান পেয়ারা হাটসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট দেখতে যাবেন। বিকেলের মধ্যে বরিশাল ফিরে জাহাজযোগে মোংলা পোর্টের উদ্দেশে রওনা হবেন। মোংলা ও সুন্দরবন ঘুরে তারা ফিরে যাবেন কলকাতায়।

পর্যটকদের গাইডে থাকা জার্নি প্লাসের প্রতিনিধি কায়েস খান বলেন, ‘১ মার্চ ভারতের আসামের দিপড়ুগড় থেকে গঙ্গাবিলাস ছয় জন পর্যটক নিয়ে ছেড়ে আসে। ১৩ মার্চ বাংলাদেশের চিলমারী থেকে প্রবেশ করে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মাওয়া হয়ে বরিশালে পৌঁছায়। মঙ্গলবার বরিশাল থেকে মোংলাপোর্টের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে গঙ্গাবিলাস।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘জেলা ও টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে প্রমোদতরীর পর্যটকদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। গতবারের পর্যটকদের কাছ থেকে বরিশালের বিভিন্ন পর্যটন স্পটের ভূয়সী প্রশংসা শুনে তারাও দেখতে এসেছেন। তারা জেলার বানারীপাড়া উপজেলায় ভাসমান পেয়ারার হাটসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখবেন। এছাড়া দুইশ বছরের ইতিহাস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অক্সফোর্ড মিশন চার্চে যাবেন। সেখানে প্রার্থনা করবেন। এ সময় পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’

৮ ফেব্রুয়ারি ২৮ পর্যটক নিয়ে বরিশালে এসেছিল প্রমোদতরী গঙ্গাবিলাস। ৫১ দিনের ট্যুরে বাংলাদেশ-ভারতের ২৭টি নদীর ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়ে ৫০টি পর্যটন স্পট ঘুরে। আসামের দিপড়ুগড়ে নোঙ্গর করার মধ্য দিয়ে ৫১ দিনের সফর শেষ করে।