ছাগল চুরির মামলায় যুবদল নেতা কারাগারে

পটুয়াখালীতে ছাগল চুরির ঘটনায় করা মামলায় যুবদল নেতা মো. বাবুল মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক স্বপন কুমার দাস।

বাবুল মিয়া (৪৫) মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবেদখালী ইউনিয়নের দেউলি এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. শাহীন জামান।

তিনি ব‌লেন, ‘গত ২৫ জানুয়ারি বরগুনার আমতলী থানার কেওরাবুনিয়া গ্রামের মো. ইউসুফ হাওলাদার বাদী হয়ে বাবুল মিয়াকে আসামি করে মির্জাগঞ্জ থানায় ছাগল চুরির এই মামলা করেন। মামলায় বাবুল ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ওই মামলায় আদালতে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।’

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ইজিবাইক নিয়ে চলাফেরার ছলে বিভিন্ন জায়গা থেকে গরু-ছাগল ও গাড়ির ব্যাটারি চুরি করতো একটি চক্র। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি মির্জাগঞ্জ উপজেলার রানীপুর বাজারে ইজিবাইক ও ছাগলসহ চোর চক্রের সদস্য রিমন, রাহুল ও মাসুদকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করলে চুরির কথা স্বীকার করে তারা জানান, কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশ থেকে ছাগলটি ইজিবাইকে করে নিয়ে এসেছেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বাবুলের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ছাগলটি। বাবুল কম দামে চোরাই ছাগল কিনে বেশি দামে বিক্রি করেন। 

ঘটনার তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাগঞ্জ থানার এসআই কামরুল ইসলাম গত ৩০ এপ্রিল মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে বাবুলকে চোর চক্রের মাস্টারমাইন্ড ও আশ্রয়দাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া আরও ৯ জনকে অভিযুক্ত করা করা হয়। আদালতের বিচারক প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বুধবার মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন বাবুল।

আইনজীবী মো. শাহীন জামান বলেন, ‘অন্য আসামিরা আদালত থেকে আগেই জামিন নিয়েছেন। বাবুল বুধবার বিকালে আদালতে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে এটি ষড়যন্ত্র কিনা, তা খুঁজে দেখতে হবে। যদি ষড়যন্ত্র না হয়ে থাকে, তাহলে বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’