ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে কুয়াকাটা ছাড়ছেন পর্যটকরা

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় রাত থেকে বৃষ্টি ও বাতাসের বেড়েছে। পাশাপাশি সামান্য উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করেছেন। গতকালই অর্ধেক পর্যটক কুয়াকাটা ছেড়েছেন, বাকিরা আজ চলে যাচ্ছেন বলে ধারণা করছে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ।

আবহাওয়া সূত্র বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকালে ৫৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হতে পারে। তাই পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবাসিক হোটেল সি গোল্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল- আমিন মুসল্লি বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে পর্যটকরা কুয়াকাটা ছাড়তে শুরু করছে। আবহাওয়া এমন থাকলে এ সপ্তাহে পর্যটকদের আনাগোনা থাকবে না।

পর্যটক জাহিদ হাসান বলেন, কুয়াকাটায় আরও দুই দিন থাকবো বলে প্ল্যান ছিল। আবহাওয়া ভালো না থাকার কারণে চলে যাচ্ছি।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, আমরা সবসময় পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে থাকি। তারা কোনোভাবেই যেন সমস্যায় না পরে সেজন্য স্পষ্ট করে ঘোষণা দেওয়া আছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, আমরা সবসময় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছি। গতকাল থেকেই আমরা মাইকিং করছি এবং তাদেরকে নিরাপদে থাকতে অনুরোধ করছি।