সুপারি চোরাচালানের মামলায় চেয়ারম্যান শাহজাহান কারাগারে

ভারতে ‘দেড় কোটি টাকার’ সুপারি চোরাচালানের মামলায় পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলার তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৮ মার্চ) পিরোজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ। শাহজাহান হাওলাদার (৬০) তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওই এলাকার হোসেন আলী হাওলাদারের ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) শ ম হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে হায়দার আলী বলেন, ‌‌‘গত ২৪ জানুয়ারি রাতে সন্ধ্যা নদীর বিনয়েকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার সুপারি জব্দ করেছিল পুলিশ। সে সময় তিন জনকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সুপারি চোরাচালানের অভিযোগে আটক মো. হারুন মাঝি, নূর নবী মাঝি, অলি হাওলাদার এবং ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। মামলার পর চেয়ারম্যান শাহজাহান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। মেয়াদ শেষে তিনি আদালতে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে কারাগারে পাঠানো হয়।’

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘সুপারি পাচারের সময় ট্রলারে থাকা চেয়ারম্যান শাহজাহান পালিয়ে যান। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ চার জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনের নামে মামলা করে পুলিশ। এজাহারনামীয় তিন জনকে আগেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানো হয়।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী কানাই লাল বিশ্বাস বলেন, ‘শাহজাহান হাওলাদার এই মামলার ৪ নম্বর আসামি। তিনি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। মেয়াদ শেষে আজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।’