বন্য শূকরের আক্রমণে নারীসহ ৫ কৃষক আহত

বরগুনার পাথরঘাটার সদর ইউনিয়নে বন্য শূকরের আক্রমণে নারীসহ ৫ কৃষক আহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার বলেশ্বর নদ তীরবর্তী পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের গাববাড়িয়া ও টেংরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বন্য শূকরটি বাড়ির পেছন থেকে এসে প্রথমে বেলায়েত মীরকে আক্রমণ করে। এ সময় তার ছেলে ইব্রাহিম ছুটে এলে তাকেও আক্রমণ করে শূকরটি। এরপর ছখিনা বেগম এবং আব্বাসকে সামনে পেয়ে তাদের দুজনকেও আক্রমণ করে। এ ছাড়া রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় বন্যপ্রাণীটির আক্রমণের শিকার হন সাইফুল। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে লোকজন জড়ো হতে থাকলে শূকরটি বনের ভেতর চলে যায়।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ‘শূকরগুলো টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বসবাস করে। বনে খাদ্যসংকটের কারণে তারা লোকালয়ে এসে কৃষিজমিতে ফসলের ক্ষতি করে।’

শূকরের আক্রমণে আহতরা হলেন গাববাড়িয়া গ্রামের মো. বেলায়েত মীর (৫৫), তার ছেলে মো. ইব্রাহিম মীর (৩২),  একই গ্রামের হাসান মীরের স্ত্রী ছকিনা বেগম (৪২) এবং আব্বাস (৩৬)। অপরদিকে পার্শ্ববর্তী টেংরা গ্রামের সাইকুল (২৩) রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে আক্রমণের শিকার হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে শূকরের দাঁতের আঘাতে বড় ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।

আহত বেলায়েত মীরের হাতের রগ ছিঁড়ে ফেলায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো  হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রাশিদা তানজুম হেনা জানান, একজনের আঘাত বেশি থাকায়  তাকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের পাথরঘাটায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জলাতঙ্ক সংক্রমণের ভয় থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বন বিভাগের পটুয়াখালী বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সংরক্ষিত বনের ওই শূকর হত্যা করার বিধান নেই। মানুষকে সচেতন করে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘাত হ্রাস করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’