কুয়াকাটা সৈকতে আবারও ভেসে এলো অর্ধগলিত ডলফিন

মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে আবারও ভেসে এসেছে অর্ধগলিত ১০ ফুট লম্বা বোটলনোজ প্রজাতির ডলফিন। এটির পুরো শরীরে চামড়া ওঠানো। শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে ডলফিনটি দেখতে পায় ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু।

ডলফিনটি দেখতে পাওয়া রাজু জানান, চলমান জোয়ারের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল। এর মধ্যে ঢেউয়ের সঙ্গে তীরে ভেসে আসে ডলফিনটি। এটির শরীরের সম্পূর্ণ চামড়া উঠে গেছে। দুর্গন্ধে কাছে ঘেঁষা যাচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে গত ৪-৫ দিন আগে মারা গেছে।

সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘কিছুদিন পরপরই ভেসে আসা মৃত ডলফিন নিয়ে আমাদের গবেষণা চলছে। এসব মৃত ডলফিনের পাকস্থলীতে বিষক্রিয়ার কোনও উপাদান পাওয়া যায়নি, যার কারণে ডলফিনের মৃত্যু হতে পারে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের জালে আটকে এসব ডলফিন মারা যাচ্ছে।’

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘এই উপকূলীয় এলাকাজুড়ে ডলফিন নিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। ২০২৩ সালে ১৫টি ডলফিনের দেখা মিলেছে এই সমুদ্রসৈকতে। এ বছর ২০২৪ সালে যে পরিমাণে ডলফিন মারা যাচ্ছে এবং সৈকতে ভেসে আসছে তার পরিমাণ গত কয়েক বছরকে ছাড়িয়ে যাবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, যাতে এই ডলফিনগুলোর মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করা হয়।’

বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কিছুদিন পরপর এসব মৃত ডলফিনের দেখা মিলছে। ডলফিন রক্ষা কমিটিকে ধন্যবাদ তাদের মাধ্যমে আমরা শুনেছি। আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।’