মোবাইলে কথা বলতে নিষেধ করায় গতি বাড়িয়ে বাসটি ডোবায় ফেললেন চালক, নিহত ১

বরিশালের গৌরনদীতে বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে একটি বাস ডোবায় পড়ে একজন নিহত ও ছয় জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার টরকি নিলখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইদুল হাওলাদার (৩৭) গৌরনদী উপজেলার ধানডোবা গ্রামের দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় নারী-শিশুসহ অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

বাসের যাত্রীরা জানিয়েছেন, বাস চালানোর সময় চালক মোবাইলে কথা বলছিলেন। এতে কয়েকজন যাত্রী আপত্তি জানান। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান চালক। এমনকি গৌরনদী আরিফ ফিলিং স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। সেখান থেকে বেপরোয়া গতিতে চালানো শুরু করেন। কয়েক মিনিট পরই একটি ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে দোকান ভেঙে ডোবায় গিয়ে পড়ে বাসটি। এতে অনেকে আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী শ্রাবণী পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী ভ্যানকে চাপা দেয়। ভ্যানটিকে নিয়ে মহাসড়কের পাশের দোকান ভেঙে খাদে পড়ে যায় বাসটি। এতে ভ্যানের চালক ও নারী-শিশুসহ সাত জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ভ্যানের যাত্রী সাইদুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ভ্যানচালক জাহিদ বিশ্বাসকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’ 

বাসের যাত্রীদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘দুর্ঘটনার আগে বাসের চালক মোবাইলে কথা বলছিলেন। এ সময় যাত্রীরা বারবার নিষেধ করেছেন। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান চালক। পরে বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারণে দুর্ঘটনায় পড়ে বাসটি। ঘটনার পরই চালক পালিয়ে গেছেন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।’

একই দিন সকাল ৯টার দিকে উজিরপুর উপজেলার তারাবাড়ি দীঘির পাড় এলাকায় ট্রলির সঙ্গে সংঘর্ষে রুম্মান হাওলাদার (২১) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। তিনি উপজেলার ধামসর গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে উজিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জ্যোতির্ময় হালদার বলেন, ‘তারাবাড়ি দীঘির পাড় এলাকায় ট্রলির সঙ্গে রুম্মান হাওলাদারের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে রুম্মান নিহত হন। ঘটনার পরই ট্রলি রেখে পালিয়ে গেছেন চালক। সেটি জব্দ করা হয়েছে।’ 

উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পরিবারের অভিযোগ না থাকায় রুম্মানের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।’