পটুয়াখালীতে এক তরুণীকে (১৯) তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও তিন জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলায় করেছেন। এরই মধ্যে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি হলো মো. রাসেল মিঠু (৩০), মো. মিরাজ (২৮), মো. রানা চৌকিদার (৩০), মো. নাজমুল (২২) ও মো. শামীম মৃধা (২৫)।
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী তরুণীকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
ভুক্তভোগী তরুণী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে রাস্তার অপর পাশে চাচার বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা কয়েকজন যুবক মুখ চেপে ধরে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির পাশে একটি খালের পাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণে পাঁচ-ছয় যুবক অংশ নেয়। এর মধ্যে মিঠু ও মিরাজকে চিনতে পেরেছেন। মামলার অপর আসামিরা তাকে আগে থেকে হয়রানি করতো।
পটুয়াখালী হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা সেঁজুতি সরকার বলেন, ‘ভুক্তভোগী তরুণীর মঙ্গলবার রাতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট অপেক্ষমাণ, যে কারণে ধর্ষণের বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত মতামত দেওয়া সম্ভব নয়। রিপোর্ট এলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতেই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা রয়েছে বলে চিকিৎসক আমাকে জানিয়েছেন। রাতেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাকৃত একজনের নাম মিঠু। অপরজনের নাম এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। এ ঘটনায় তরুণীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও তিন জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’