বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর আসনের সাবেক সদস্য সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৬ মে) দুপুরে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হাবিবুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করা হয়। একই সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী সাবেক এমপি হিসেবে কারা অভ্যন্তরে তার ডিভিশন চান। তিনি ডিভিশন পেতে পারেন কিনা, কারা আইনে কী উল্লেখ করা রয়েছে, তা দেখে জেল সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জেবুন্নেছা আফরোজ বরিশাল সদর আসনের সাবেক এমপি ছিলেন। তার বিরুদ্ধ একাধিক মামলা রয়েছে। বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য মারজুক আব্দুল্লাহর করা বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় হাজিরা দিতে তাকে আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। বিচারক আসামিকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে মামলা বিবেচনা করে তা নামঞ্জুর করেন বিচারক।’
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘১৬ মে রাতে ঢাকা থেকে জেবুন্নেছা আফরোজকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ মে ভাটারা থানায় করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। সোমবার জেবুন্নেছাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার পদ স্থগিত হওয়া যুগ্ম সদস্য মারজুক আব্দুল্লাহর করা একটি বিস্ফোরক মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত মামলাটি যাচাই শেষে গ্রেফতারের আদেশ দেন। সেইসঙ্গ কারাগারে পাঠাতে বলেছেন।’
জেবুন্নেছা আফরোজ আওয়ামী লীগের বরিশাল মহানগর শাখার সহসভাপতি এবং দলের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণের স্ত্রী। হিরণ ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসের নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন। ওই বছরের ৯ মে মারা গেলে উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন জেবুন্নেছা।