কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে মো. রানু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাসহ ১৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আবু ওবায়দা রাহিদ ওই মামলার ১৪৭ নম্বর আসামি।
বুধবার (২৮ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মইনুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুর আড়াই থেকে ৩টার সময় বাদীর ছোট ভাই মামুন আহমেদ রাফসান (১৮) কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ওভারব্রিজের নিচে অবস্থান করছিলেন। এরপর ছাত্র-জনতার একটি মিছিলে ওই আসামিরা তাদের হাতে থাকা হাতবোমা, ককটেল মিছিলকারী ছাত্র-জনতার ওপর ছুড়ে মারে। আসামিদের গুলি, হাতবোমা ও ককটেলের আঘাতে বাদীর ভাইসহ আরও কয়েকজন ছাত্র-জনতা রাস্তার উপর লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন বাদীর ভাই মামুন আহমেদ রাফসানকে রাস্তার ওপর গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার বাদীর ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কুবি শিক্ষক আবু ওবায়দা রাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মামলার বিষয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মইনুল ইসলাম বলেন, ‘মামুন আহমেদ রাফসানের ভাই রানু মিয়া গতকাল (২৭ মে) বাদী হয়ে একটি এজাহার দিয়েছেন। সেই এজাহারটি মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।’
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় না। যার নামে মামলা হয়েছে সে ব্যক্তিগতভাবে দেখবে। পুলিশ প্রশাসন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলার চার্জশিট পাঠায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তাকে সাময়িক কিংবা স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।’
উল্লেখ্য, এজাহার মোতাবেক ভুক্তভোগী মামুন আহমেদ রাফসান কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ক্যাফে আল বাইক হোটেলের একজন কর্মচারী ছিলেন।