জাপার অফিস ভাঙচুর: নুরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বললেন আদালত

বরিশালে জাতীয় পার্টির (জাপা) অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দ্রুত বিচার আইনের এ মামলার প্রধান আসামি গণঅধিকারের কেন্দ্রীয় সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। 

এর আগে ৩১ মে ঘটনার পর জাপার মামলা কোতোয়ালি থানা গ্রহণ করেনি। পরে আদালতে অভিযোগ দেয় জাপা। গত মঙ্গলবার আদালত মামলা এজাহারভুক্ত করার জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

মামলার আইনজীবী ও জাপার জেলা সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী জলিল জানান, ৩১ মে রাতে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা নগরের ফকির বাড়ি সড়কে জাপা কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনার পর তারা থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ গ্রহণ করেনি। পরে আদালতে অভিযোগ দেন। বৃহস্পতিবার আদালত অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করতে কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা ১১টায় আদালতের আদেশসহ অভিযোগ থানায় পাঠানো হয়েছে। থানায় দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার এসআই ডলি কাগজপত্র গ্রহণ করেছেন।

মামলায় নুর ও রাশেদ ছাড়াও গণঅধিকারের জেলা সভাপতি এইচ এম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হাসান, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের ২৫ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়।

কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘জাপার মামলা-সংক্রান্ত আদালতের আদেশের কোনও কাগজপত্র পাইনি। ডিউটি অফিসার গ্রহণ করে থাকলে সেটা যথাসময়ে পাবো।’

গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘জাপার অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় আদালতে মামলা করার বিষয়ে জানি না। এমন ঘটনা ঘটলে আইনিভাবেই মোকাবিলা করবো।’

গত ৩১ জুন বিকালে নগরীতে জাপার মিছিলে হামলার অভিযোগ ওঠে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তখন জাপার পাল্টা প্রতিরোধে গণঅধিকারের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। রাত ৯টার দিকে গণঅধিকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জোটবদ্ধ হয়ে জাপা কার্যালয় ভাঙচুর করে।