তিনশো বছরের এক গাছের জন্য প্রার্থনা

প্রায় ৩১২ বছরের স্মৃতি নিয়ে নীরব নিশ্চল নিঃসঙ্গ হয়ে রাঙামাটি শহরের ডিসি বাংলো এলাকার এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে এই চাপালিশ গাছ।

রাঙামাটির তিন শতাধিক বছরের চাপালিশ

জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কর্ণফুলি নদীতে বাঁধ দেওয়ার পর কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় এর সামনেই ডুবে গেছে রাঙ্গামাটির পুরাতন রাজবাড়ি, বয়েসী আরও অনেক বৃক্ষ। সেদিক থেকে চাপালিশ গাছটিকে বেশ সৌভাগ্যবান বলতে হয়।

হ্রদের তীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে এই বৃক্ষ। একে ঘিরে বড় হয়েছেন অন্তত দুই প্রজন্মের মানুষ, বয়সে তারা পৃথিবী ছেড়ে চলেও গেছেন। এবার বোধয় এই চাপালিশেরও যাবার সময় ঘনিয়ে আসছে। মানুষের হাতে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যেই ক্ষয়ে গেছে এর বেরিয়ে থাকা শেকড়, একদিকে হেলে গেছে গাছটি।

আরও পড়ুন: চা শ্রমিকমৌলভীবাজারে চা শ্রমিকদের ২০০ টাকা দৈনিক মজুরি দাবি

পর্যটকদের কাছে ভীষণ আকর্ষণীয় এ গাছ। এর বয়স শুনে সবার চোখ কপালে ওঠে।  স্থানীয়রা চান বিস্ময়েরর উপলক্ষ এ গাছ আরও বহুদিন বাঁচুক। তারা এর দীর্ঘায়ু চেয়ে প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেন।

চাপালিশ গাছের কাণ্ডে তথ্যবহুল বোর্ড

মাটি ফেটে বের হওয়া শেকড়গুলোর ওপর ক্রমশ অত্যাচারে যেন কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, বিষয়টির দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের আশা, বেঁচে থেকে এই চাপালিশ অনাগত প্রজন্মের মানুষকেও তার ছায়ায় বহুকাল শীতল করে যাবে।

/এইচকে/