তনু হত্যার মামলার বাদী তার বাবা ইয়ার আলীর পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলীর পাঠানো ওই নোটিশে, তনুর মৃতদেহের প্রথম ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলমাত না পাওয়া ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে কালক্ষেপণ করায় কেন আইনগহত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে চাওয়া হয়।
গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় নিজ বাসার কাছে খুন হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনু। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে পুলিশের ধারণা।
এ ঘটনায় তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার আলী একটি মামলা করেন। তবে এখনও কোনও খুনিকে শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়তে পারেন: তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী বোর্ডের প্রধানকে হত্যার হুমকি
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ তনুর মরদেহ কুমিল্লা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে তার বাসার পাশে একটি জঙ্গলের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। পর দিন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানা তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত করেন। ডিএনএ আলামত সংগ্রহের জন্য মামলার ২য় তদন্তকারী সংস্থা ডিবি’র আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড ২য় দফা ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ আলামত সংগ্রহ করে। গত ৪ এপ্রিল তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়। ওই রিপোর্টে তনুকে হত্যা কিংবা ধর্ষণের আলামত ছিল না বলে জানানো হয়। এতে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। কিন্তু গত ৫৫ দিনেও নানা অজুহাতে দেওয়া হয়নি ২য় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। এরই মধ্যে গত ১৬ মে রাতে ডিএনএ রিপোর্টে তনুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার খবর সিআইডি থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের জানানো হয়।
/এনএস/ এমএনএইচ/