তনুর পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ প্রতিবেদন মেডিক্যাল বোর্ডকে দেওয়ার নির্দেশ

তনু হত্যাকাণ্ডকুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ প্রতিবেদন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিক্যাল বোর্ডকে দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত। রোববার বিকেলে কুমিল্লার অতিরিক্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম এ নির্দেশ দেন।
কুমিল্লার আদালত পুলিশের এসআই বাদল বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম রোববার সকালে আদালতে একটি আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, তনুর দাঁত ও সোয়াবের নমুনা পরীক্ষাসহ সবকিছু একটি প্রতিবেদনে সন্নিবেশ করা আছে। আলাদাভাবে দাঁত ও সোয়াবের পরীক্ষার প্রতিবেদন নেই। ডিএনএ প্রতিবেদন থেকে কেটে দাঁত ও সোয়াবের অংশটুকু ময়নাতদন্তকারী বোর্ডকে দেওয়া কষ্টসাধ্য। প্রতিবেদনের আংশিক দেওয়ার সুযোগ নেই। এ জন্য পুরো প্রতিবেদনটিই মেডিকেল বোর্ডকে দিতে হবে। এ জন্য আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ‘আদালত ২৫ মে দাঁত ও সোয়াবের ডিএনএ প্রতিবেদন সরবরাহ করার জন্য নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা গত ২৯ মে পাওয়া যায়। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শিগগিরই মেডিক্যাল বোর্ডকে ডিএনএ প্রতিবেদন দেব।’

তনুর লাশের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামদা প্রসাদ সাহা বলেন, ‘ওই প্রতিবেদন পেলে দ্রুত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরে তনুর লাশ পাওয়া যায়। ২১ মার্চ তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। এতে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত নয় এবং ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তনুর পরিবার ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে। পরে আদালতের নির্দেশে ৩০ মার্চ তনুর লাশ উত্তোলন করা হয়। দ্বিতীয় ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এ পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।

এজে/