ঈদে দর্শনার্থী বরণের অপেক্ষায় ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহার

ঈদে দর্শনার্থীদের বরণের অপেক্ষায় রয়েছে কুমিল্লা কোটবাড়িতে অবস্থিত ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহার। ঈদ উপলক্ষে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে ময়নামতি জাদুঘরকে। সংস্কার হয়েছে শালবন বিহারের।

ময়নামতি শালবন বিহারে দর্শনার্থীরা। ফাইল ফটো।

জাদুঘর সূত্র জানায়, জাদুঘরের ভেতরে টাইলস বসানো হয়েছে, লাগানো হয়েছে নতুন রঙ। নিরাপত্তার জন্য লাগানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। দর্শনার্থীরা এবার ঈদে নতুন রূপে দেখতে পাবেন ময়নামতি জাদুঘরকে। এতে রাজস্ব আয়ও বাড়তে পারে বলে জাদুঘর কর্তৃপক্ষের ধারণা।

ময়নামতি জাদুঘরের সঙ্গে সংস্কার হয়েছে শালবন বিহারের ভিক্ষু কক্ষ, আনন্দ বিহারের ভেতরের দেয়াল, ভোজ বিহারের ভেতরের দেয়াল ও শতরত্ন মন্দিরের।

সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশি নাগরিকদের ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহারে ঢুকতে লাগবে ২০ টাকা দামের টিকিট। প্রতিটির জন্য আলাদা টিকিট কাটতে হবে।জাদুঘর ও বিহারে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলে-মেয়েদের ঢুকতে লাগবে ৫ টাকা মূল্যের টিকিট। সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের এসব পর্যটন স্থানে ঢুকতে লাগবে ১০০ টাকা মূল্যের টিকিট। অন্য বিদেশি নাগরিকদের জন্য লাগবে ২০০ টাকা করে টিকিট।

সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি আলী আকবর মাসুম বলেন, ময়নামতি জাদুঘর, শালবন বিহারসহ অন্যান্য ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতে মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় অন্য জেলার মানুষও কুমিল্লায় সহজে আসতে পারেন। তবে কোটবাড়ি এলাকায় আবাসিক ব্যবস্থা থাকলে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।

ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান আহমেদ আবদুল্লাহ জানান, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে নতুন সাজে সেজেছে ময়নামতি জাদুঘর।শালবন বিহারেও সংস্কার কাজ করা হয়েছে।গাড়ি পার্কিং মাঠটি নিরাপদ করতে সীমানা দেয়াল করা হয়েছে। মূলত ঈদের পরের দিন আমাদের দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি হয়।সেদিন আশা করছি, দেড় লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করতে পারবো। তবে আবহাওয়া ও সার্বিক পরিস্থিতির ওপর টিকিট বিক্রি কম বেশি হতে পারে।

 /টিএন/

আরও পড়ুন: গুলশান হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা