চট্টগ্রামে অ্যামোনিয়া গ্যাস নিঃসরণ

কারখানার আশেপাশে পানির পিএইচ ঠিক নেই

চট্টগ্রামে সার কারথানায় ট্যাংক বিস্ফোরণচট্টগ্রামের আনোয়ারার ড্যাপ (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার কারখানার অ্যামোনিয়া গ্যাস ট্যাংক লিকেজের প্রভাবে আশেপাশের পানি তিনটি প্যারামিটারে আদর্শ মান হারিয়েছে। বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পিএইচ, ডিও ও সিওডি-এই তিন প্যারামিটারে পানির আদর্শ মানে হেরফের ঘটেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম গবেষণাগারের একটি দল মঙ্গলবার প্রায় দিনভর কাজ করে। এই সময়ের মধ্যে তারা নমুনা হিসেবে ড্যাব সার কারখানার পূর্ব ও উত্তর পাশের পানি সংগ্রহ করে। এরপর এসব নমুনা গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়। তাতে পূর্ব ও উত্তর পাশের পুকুরের পানির পিএইচ ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯৪ এবং ৮ দশমিক ৫৪ (আদর্শ মান ৬ দশমিক ৫ থেকে ৮ দশমিক ৫)। পুকুর দুটিতে ডিও ছিল যথাক্রমে ১ দশমিক ৩৯ ও ৪ (আদর্শ মান ৪ দশমিক ৫ থেকে ৮ দশমিক ৫)। এ ছাড়া সিওডি’র মাত্রা পাওয়া গেছে যথাক্রমে ৩২৪ ও ২৬৪ (আদর্শ মান ২০০-এর কম)।

দলটি ঘটনাস্থলের পাশ থেকে বাতাসের নমুনাও (অ্যামোনিয়া) সংগ্রহ করে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাতাসে আট ঘণ্টায় গড় অ্যামোনিয়া ছিল ৯২ পিপিএম।

উল্লেখ্য, রবিবার (২১ আগস্ট) রাত পৌনে ১১টার দিকে ড্যাপ (ডাইঅ্যামোনিয়াম ফসফেট) ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের একটি সার কারখানার অ্যামোনিয়া গ্যাস ট্যাংক লিকেজ হয়ে আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে অসুস্থ হয়ে ৫২ জন  হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিসিআইসির পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

কারাখানাটি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। এটি কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারা উপজেলার রাঙাদিয়ায় অবস্থিত। ২০০৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কারখানাটি উৎপাদন শুরু করে।

/এআরএল/

আরও পড়ুন: 

খন্দকার মাহবুবকে প্রধান বিচারপতি: ওয়ার ক্রাইম নিয়ে আপনার ইয়ে আমি জানি