মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে নতুন তদন্ত কমিটি গঠন এবং অপহরণ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু করে ইউপিডিএফ সমর্থিত চার নারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ,ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি,সাজেক নারী সমাজ এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশন। সমাবেশে দুই শতাধিক নারী অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহযোগি সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও যুব সমিতির কিছু নেতা এসে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড কেড়ে নিয়ে অংশহগ্রহণকারী নারীদের ধাওয়া করেন। এ সময় মেয়েদের কর্মসূচিস্থল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন পিসিপি নেতারা। আকস্মিক এ ঘটনায় হতবিহ্বল নারীরা দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা কিভাবে মুরুব্বি নারীদের হেনস্থা করতে পারে? এটা কি ধরনের মানসিকতা?’
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি মুহাম্মদ রশীদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ইউপিডিএফ সমর্থিত নারী সংগঠনের কর্মসূচিতে জেএসএস-এর লোকজন হামলা চালিয়েছে শুনে আমি ফোর্স পাঠাই। কিন্তু ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ওরা চলে গেছে। ফলে আমরা কিছুই জানতে পারিনি। কেউ কোনও অভিযোগও দেয়নি।’
আরও পড়ুন:
স্কুলের জমিতে সভাপতির বাড়ি!
দোকানের সঙ্গে ঝুলিয়ে স্কুলছাত্রকে নির্যাতন
/বিটি/