‘শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আন্দোলনের প্রয়োজন নেই’

রাঙামাটিতে ওবায়দুল কাদের‘পাহাড়কে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র সক্রিয় আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমার উদ্দেশে বলেন, ‘উসকানিদাতাদের প্রশ্রয় দেবেন না। শান্তি চুক্তি আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, বাস্তবায়নও আওয়ামী লীগ সরকারই করবে। এজন্য কোনও আন্দোলনের প্রয়োজন নেই।’

বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক গণসংবর্ধনা ও কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শান্তি চুক্তি রাতারাতি হয়ে যায়নি। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে শেখ হাসিনার সরকার শান্তি চুক্তি করেছে। এরশাদ থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার সরকার চুক্তির জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েছে, কিন্তু কেউ  সফল হয়নি। একমাত্র হাসিনা সরকারই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। এখন চুক্তি নিয়ে দেখা যায়, মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখনও এখানকার অশান্তির মূল কারণ হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। অবৈধ অস্ত্র দিয়ে শান্তি সম্ভব নয়।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর।রাঙামাটিতে ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার উদ্দেশে আরও বলেন, ‘চুক্তি নিয়ে কোনও সমস্যা হলে টেবিল আছে। আমরা টেবিলে বসে কথা বলতে পারি। চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা আসলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করুন। দেখা করতে কোনও বাধা আসলে আমাকে বলুন। আমিই সব ব্যবস্থা করবো। তার জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। অশান্তি সৃষ্টির উসকানিদাতাদের প্রশ্রয় দেবেন না। পাহাড়ে আর রক্ত চাই না, এখানে অনেক রক্ত ঝরেছে।’

তিনি সন্তু লারমার উদ্দেশে আরও বলেন, ‘পাহাড়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করেছেন। চুক্তির আগে আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য পানছড়ির দুর্গম দুদুকছড়ায় গিয়েছিলাম। আপনার কষ্ট দেখেছি। সেই আপনাকেই প্রধানমন্ত্রী গাড়িতে দেশের পতাকা ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছেন। তিনি আপনাকে যে সম্মান তুলে দিয়েছেন তা ধরে রাখার দায়িত্ব আপনার। তিন পার্বত্য জেলার মানুষের ভালবাসার মাধ্যমে আপনি সেই সম্মান বজায় রাখবেন বলে আশা রাখছি।’

আরও পড়ুন- 


৭ খুন মামলার রায় ১৬ জানুয়ারি

/এফএস/