বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৪৫তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর)। চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ৬ দিন আগে ১৯৭১ এর এই দিনে খুলনার রূপসা নদীতে রণতরী পলাশে যুদ্ধরত অবস্থায় হানাদার বাহিনীর জঙ্গি বিমান থেকে আঘাত হানা গোলায় শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ১৯৩৪ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বাগপাঁচড়া (বর্তমান রুহুল আমিন নগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ সালে রুহুল আমিন তদানিন্তন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর অধীনে পিএনএসআরএ-১ এর ইঞ্জিন অফিসার হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি ৯ ডিসেম্বর খুলনায় হানাদার বাহিনীর নৌঁঘাটি তিতুমীর দখলের জন্য মুক্তি বাহিনীর রণতরী পলাশ, পদ্মা এবং ভারতীয় রণতরী পারভেন নিয়ে বীরত্বের সঙ্গে হিরণ পয়েন্টে প্রবেশ করেন।

১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় কোনও প্রকার বাধা ছাড়া রণতরীগুলো মংলা বন্দরের কাছাকাছি পৌঁছালে হঠাৎ করে হানাদার বাহিনীর জঙ্গি বিমান থেকে রণতরী গুলোর উপর বোমা বর্ষণ শুরু হয়। এসময় বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন রণতরী পলাশের ইঞ্জিন পরিচালনা করছিলেন। শত্রুর গোলার আঘাতে রণতরী পলাশের ইঞ্জিন রুম এবং রণতরীতে রক্ষিত গোলা বারুদে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটলে তিনি গুরুতর আহত হয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। সাঁতরে তীরে উঠার সময় স্থানীয় রাজাকাররা অমানসিক অত্যাচার ও নির্যাতন করে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনকে হত্যা করে।

পরে খুলনায় রূপসার বাগমারা গ্রামের মুক্তিকামী আবদুল গাফফার স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় পূর্ব রূপসার চরে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনকে দাফন করেন।

 

/এসটি/