শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় দিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা!

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনকুমিল্লার চান্দিনায় দোল্লাই নবাবপুর আহসানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড়ের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটলেও বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মুজাহারুল ইসলামের বাম কান ও চোখে আঘাত লাগে। তিনি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডা. সাজেদুল রশিদের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মসজিদে এশার নামাজ শেষে ফেরার সময় প্রধান শিক্ষক মুজাহারুল ইসলামকে ৪-৫ জন যুবক বড় ভাই (গিয়াস উদ্দিন) ডেকেছে বলে নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর বিদ্যালয়ের নিজস্ব দোকান ভাড়া চান নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাস্টারের ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন। কিন্তু টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মুজাহারুল ইসলামের কানে-গালে চড়-থাপ্পড় দেওয়া শুরু করেন গিয়াস উদ্দিন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক মুজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে এখানে এসে চাকরি করছি। ২০০৯ সালে নবাবপুর আহসানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। এ এলাকায় আমার অনেক ছাত্র। এ ঘটনায় লজ্জায় আমি মুখ খুলে কাউকে কিছু বলতেও পারছি না। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ বিষয়টি সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন বলেন,‘হেতে কারও কথাই শুনে না, হেতে মানুষেরে মানুষ মনে করে না, ঘুষখোর। কথা কাটাকাটি হইছে, তার কানে ও মুখে রক্ত বাইর হইছে না। এমন প্রমাণ কেউ দিতো পারব না।’

উল্লেখ্য, গিয়াস উদ্দিন স্থানীয় এমপি অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের ভায়রার ছেলে। গিয়াস উদ্দিন নিজেও কৈলাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। এর আগেও দুই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন:
জঙ্গিবাদকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

‘জঙ্গিবাদ দমনে নতুন টিম হচ্ছে’ 

/বিটি/