বাঘাইছড়ি পৌর নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ পরাজিত প্রার্থীর

সংবাদ সম্মেলন করছেন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুর রহমান আজিজরাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পরিবারের সদস্যদের ওপর পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুর রহমান আজিজ।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাঙামাটি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে গোপন সমঝোতা হয়। ফলে নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি হয়েছে।  তার বড় প্রমাণ হচ্ছে নৌকা প্রার্থীর এলাকায় ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। যেখানে সামগ্রিকভাবে অন্যান্য এলাকায় ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ। আওয়ামী লীগ প্রার্থী যে ভোট কারচুপি করেছে এটা তারই বড় প্রমাণ। আওয়ামী লীগ প্রার্থী দলীয় ক্যাডারদের টোকেনের মাধ্যমে ৫-১০টি ব্যালট দিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে আজিজুর রহমান আরও জানান, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অপরাধে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তার পরিবার-স্বজন ও সমর্থকদের পুলিশ নানাভাবে হয়রানি করছে। তার তিন ছেলে ও ছেলের ভার্সিটি পড়ুয়া বন্ধুদেরও অহেতুকভাবে গ্রেফতার করে মামলা দিয়েছে। বাঘাইছড়ি থানার ওসি আবুল কালাম চৌধুরী সরাসরি এর সঙ্গে জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এ সময় পরাজিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রাথী মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান আজিজসহ রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রোবার্ট রোনান্ড পিন্টু, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল শুক্কুর তালুকদার, সদর উপজেলা কমান্ডার মিজানুর রহমানসহ বাঘাইছড়ি মুক্তিযোদ্ধা এবং বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আজিজুর জানান, বর্তমানে নির্বাচিত মেয়রের ভয়ে তিনি এবং তার পরিবারের লোকজন ঘরছাড়া।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাফর আলী খান তিন হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

/বিএল/