তনু হত্যাকাণ্ড: সিআইডিকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম

comilla tonu jagoron picকুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার এক বছরেও মামলার কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় সিআইডিকে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা শাখা।

সোমবার দুপুরে সিআইডিকে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।  স্মারকলিপির একটি কপি কুমিল্লা পুলিশ সুপার বরাবরও দেয় গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা শাখা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা জেলার মুখপাত্র খায়রুল আনাম রায়হান, নারী সংগঠক মমতা রায়হান মম, কবি সৈয়দ আহাম্মদ তারেক, নাবিল হাসান অনিমেশ ও খন্দকার মহিবুল হক।

গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা জেলার মুখপাত্র খায়রুল আনাম রায়হান বলেন, ‘হত্যার এক বছরেও মামলার কোনও অগ্রগতি দেখাতে পারেনি সিআইডি। এর প্রতিবাদে তথ্য অধিকার আইনে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা একটি দাবি উত্থাপন করেছি। আগামী ১০ দিনের ভেতর সিআইডি যদি কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি উল্লেখ করতে না পারে তাহলে ২ এপ্রিল থেকে লাগাতার আন্দোলন গড়ে তুলবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে লাগাতার আন্দোলনে নামবো। আমরা আশা করি অচিরেই তনু হত্যাকারীদের শনাক্ত করে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

এর আগে সকালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে মানববন্ধন করে তনুর বিভাগ ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। কলেজের কলা ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম আহমেদ,রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নাজিমুল হক স্বপন,সজীব ও সোহাগ প্রমুখ। এছাড়া কলেজে, মসজিদে মিলাদের আয়োজন করে তনুর সংগঠন ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার। এদিকে তনুর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরেও মিলাদের আয়োজন করা হয়।    

তনুর পরিবার জানায়, কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরের একটি জঙ্গল থেকে গত বছরের ২০ মার্চ রাতে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর গত বছরের ১ এপ্রিল মামলাটির তদন্তভার পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি-কুমিল্লা। ঘটনার পর পর ঘাতকদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন মহলসহ দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও ধীরে ধীরে সবই থেমে গেছে। তনুর লাশের দুই দফা ময়নাতদন্ত, মামলার তদন্তকারী সংস্থা,কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও এ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি তনু হত্যা মামলা।

/বিএল/

আরও পড়ুন:

‘সংরক্ষিত এলাকা’ বলেই তনু হত্যার তদন্তে বিলম্ব?