শিলাবৃষ্টিতে সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

Water Melon destroy Pic-3৩৩

নোয়াখালীর উপকূলীয় চরাঞ্চলে গত শনিবার আকস্মিক শিলাবৃষ্টির ফলে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১০-১৫ দিনের মধ্যে তরমুজ ঘরের তোলার কথা ছিল, কিন্তু অসময়ে শিলাবৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে অধিকাংশ তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও সদরের সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার ফলনও ভালো হয়েছিল। অসময়ে বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ জমি জলমগ্ন হয়ে গেছে। যদিও বৃষ্টি নামার পর পরই কৃষকরা নালা কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন। এতে খুব একটা ফল পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন না তারা। এক সপ্তাহ আগেও একবার বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেতগুলো আক্রান্ত হয় বলে জানান কৃষকরা। সুবর্ণচর উপজেলা ও সদর উপজেলার ভাটিরটেকসহ পাশের এলাকা বেশি ক্ষতি হয়েছে।

Water Melon Destroys Pic-1৩৩

সুবর্ণচর উপজেলার চরআমানুল্যা এলাকার কৃষক ডালিম মজুমদার জানান, আকস্মিক বাতাস আর শিলা বৃষ্টিতে তার তরমুজ ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি ব্যাংক, এনজিও এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ঋণ নিয়ে ৩ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এখন ঋণের টাকা পরিশোধের চিন্তায় তিনি দিশেহারা। এ চিন্তায় তার খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

নোয়াখালীর সদর উপজেলার চরওয়াপাদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমদ জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ২০ হাজার একর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে এবং ফলনও খুবই ভালো হয়েছে। কিন্তু শিলাবৃষ্টির কারণে উৎপাদিত তরমুজের প্রায় ৪০ শতাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে এ এলাকার কৃষকরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক প্রণব ভট্টাচার্য জানান, কৃষি বিভাগ ধারণা করছে হঠাৎ শিলাবৃষ্টির কারণে কমপক্ষে ৪০ ভাগ জমির ফলন নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক স্থানে পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফলস। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে কৃষি বিভাগ।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: যার শূন্য পাওয়ার কথা তাকে জিপিএ ৫ দেওয়া হচ্ছে: এরশাদ