রমেল চাকমার মৃত্যুর তদন্ত দাবিতে রাঙামাটিতে পিসিপি’র অবস্থান ধর্মঘট

 

রাঙামাটিতে পিসিপির’র অবস্থান ধর্মঘটইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) নানিয়ারচর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমার মৃত্যুকে ‘নির্যাতনে হত্যা’ দাবি করে এর প্রতিবাদে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী  অবস্থান ধর্মঘট এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি পাঠায় পিসিপি।

বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় পিসিপি ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা রমেল চাকমার মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান এবং এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন। এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ছিল সেখানে।রাঙামাটিতে পিসিপির’র অবস্থান ধর্মঘট

রাঙামাটি জেলার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি কুনেন্টু চকমা বলেন, ‘গত ৫ এপ্রিল আমাদের নানিয়ারচর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমাকে সেনাসদস্যরা বাজার থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিট করেছে এবং তাকে পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। গত ১৯ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার ওপর যে সেনাসদস্যরা নির্যাতন করেছে তাদের শাস্তির দাবিতে আজ আমাদের এই অবস্থান ধর্মঘট।’

রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।’রাঙামাটিতে পিসিপির’র অবস্থান ধর্মঘট

উল্লেখ্য, নানিয়ারচর উপজেলায় দুটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার অভিযোগে গত ৫ এপ্রিল নানিয়ারচর বাজার থেকে রমেল চাকমাকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরে নানিয়ারচর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে তারা। রমেল চাকমা বুকে ব্যথা অনুভবের কথা জানালে গত ৬ এপ্রিল পুলিশ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গত ১৯ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রমেল সেনাবাহিনীর নির্যাতনে মারা গেছে কিনা- এ ধরনের অভিযোগ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে রমেলের মৃত্যুর প্রতিবাদে গত ২৩ এপ্রিল রবিবার রাঙামাটিতে সড়ক অবরোধ পালন করে পিসিপি।

/এফএস/  

আরও পড়ুন- 


খোয়াই নদীর বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে আরও ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল