ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জড়িত: এসপি মিনা

 

Photo-(3)আনোয়ারা-গহিরা রুটে স্থানীয় ইউনিয়ন পর্যায়ের বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিরা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা। শনিবার দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদ জেলা পুলিশ লাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য দেন।

সকালে আনোয়ারা থেকে উদ্ধার করা ২ লাখ ইয়াবার তথ্য জানাতে এ  সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে আনোয়ারা-গহিরা রুটে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে অনেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের বর্তমান ও সাবেক মেম্বার। আমরা সুনির্দিষ্ট প্রমাণের জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকার পরও কিছু করতে পারছি না। কারণ যতক্ষণ না আমাদের হাতে প্রমাণ আসছে।’

পুলিশ সুপার বলেন, ‘আদালতে যদি আসামি জবানবন্দি দেয়। এছাড়া সিআরপিসি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী যদি স্বীকার করে সে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার সঙ্গে কোন কোন ব্যক্তি ইয়াবা ব্যবসা করছে। তখনই আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আইনগত সিস্টেমে আনার চেষ্টা করছি। র‌্যাব, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ এ ব্যাপারে অবগত আছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু জনপ্রতিনিধিই নয়, মাছ ধরার আড়ালে অধিকাংশ জেলে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। তৈরি করছেন একাধিক মাছ ধরার ট্রলার। মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ট্রলারে আসা লাখো ইয়াবা খালাস হচ্ছে আনোয়ারার এই উপকূলে। শনিবার সকালেও এই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২ লাখ ইয়াবা। এর আগেও ইয়াবার বড় বড় চালান এই উপকূলে ধরা পড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মায়ানমারের টেকনাফ সীমান্তে কড়াকড়ির পর ইয়াবা ব্যবসায়ীরা রুট পরিবর্তন করে আনোয়ারা-গহিরা রুটে তাদের চালান খালাস করছে। পরবর্তীতে এসব ছড়িয়ে দিচ্ছেন চট্টগ্রাম নগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

ইয়াবার রুট পরিবর্তনের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘কক্সবাজার ও টেকনাফ সমুদ্র উপকূলে নজরদারি বাড়ানোর কারণে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এখন আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই রুট ব্যবহার করে ইয়াবা আনছেন। মাছ ধরার আড়ালে এই রুটে ইয়াবা আনা হয়। কাঁচা টাকা পাওয়া যায় বলে এই ব্যবসার সঙ্গে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ জড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় মসজিদের কয়েকজন ইমাম ও মুয়াজ্জিনও এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।’

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: দাবদাহ আর লোডশেডিংয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত