কুমিল্লা সীমান্তে মাদক তৈরির কারখানার সন্ধান

কুমিল্লাকুমিল্লা সীমান্তে ফেনসিডিলসহ মাদক তৈরির বিশাল কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ওই কারখানা থেকে দুই হাজার বোতল ফেনসিডিল ও বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ফেনসিডিল তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

বুধবার জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার সীমান্তবর্তী গলিয়ারা গ্রামে রতন মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ। এ ঘটনায় কারখানা মালিক রতনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা যায়, বুধবার সকালের দিকে নগরীর গর্জনখোলা এলাকায় একটি সিএনজিতে তল্লাশি চালিয়ে ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এ সময় সিএনজি চালকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা গ্রামের রতন মিয়া (৪২), পার্শ্ববর্তী বলেরডেবা গ্রামের ইলিয়াস মিয়া (৪৫) ও গলিয়ারা গ্রামের সিএনজি চালক বশির মিয়া (২৮)। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন মিয়া তার বাড়িতে ফেনসিডিলসহ মাদক তৈরির কারখানা রয়েছে বলে জানায়। পরে পুলিশের একটি দল রতন মিয়ার গলিয়ারা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালায়। সীমান্তবর্তী এলাকায় নির্জন ওই বাড়িটিতে গোয়াল ঘরের (গরুর ঘর) আড়ালে গড়ে তোলা হয় ফেনসিডিলসহ মাদক তৈরির বিশাল কারখানা। পুলিশ ওই কারখানা থেকে দুই সহস্রাধিক বোতল ফেনসিডিল, কয়েক হাজার খালি বোতল, বোতলের কর্ক, তরল ফেনসিডিল ভর্তি ড্রাম, ফেনসিডিল তৈরির নানা সরঞ্জাম এবং প্রায় ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন জানান, সীমান্তের নির্জন এলাকার ওই বাড়িতে গরু পালনের নামে গোয়াল ঘর তৈরি করে ওই ঘরে ফেনসিডিলের কারখানা গড়ে তোলা হয়। ওই কারখানায় প্রস্তুতকৃত ফেনসিডিল দেশের বিভিন্নস্থানে পাচার করা হতো।

/বিএল/