সোনাগাজীতে ২ যুবদল নেতাকর্মীকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

নিখোঁজ ওমর ফারুক ও আজিজুল হকফেনীর সোনাগাজীতে পুলিশ পরিচয়ে ওমর ফারুক মোহন (৩৫) ও আজিজুল হক দাউদ (৩০) নামে দুই যুবদল নেতাকর্মীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের অভিযোগ, গত ১৭ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোনাগাজী মডেল থানার এএসআই জাহাঙ্গীর আলম  ও এএসআই  মো. শাহাজানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের কামলা বাড়ি থেকে (মোতালেব মেম্বারের বাড়ি) তাদেরকে আটক  করে নিয়ে যায়।

নিখোঁজ ওমর ফারুক মোহন আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদের ফেনী শহর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।

ফেনীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) জোনায়েত কাউসার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ওমর ফারুক মোহন (৩৫) নামে ফেনী সদরের এক যুবক পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও রাহাজানিসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। তবে ওই যুবক এবং দাউদকে আটকের বিষয় তার কাছে কোনও তথ্য নেই। এরপরও বিষয়টি খোঁজ নেবেন বলে জানান।
থানাহাজতের সামনে স্বজনদের আহাজারিমোহনের বোন মনোয়ারা বেগম বলেন, আটকের আগের দিন রাতে সে সোনাগাজির রামচন্দ্রপুর গ্রামের কামলা বাড়িতে তার চাচাতো বোন রওশন আরা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। মোহনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আটকের প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মামুনকে নিয়ে শনিবার থানায় ছুটে যাই। থানাহাজতে আছে কিনা দেখতে গেলে তাদের দেখা পাইনি। তবে হাজতখানার সামনে মোহন ও দাউদের জুতা দেখতে পাই।

তারা কোথায় এবং তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আছে থানায় কর্মরত ডিউটি অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয় কিছুই জানেন না বলে জানান। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেবকে নিয়ে থানায় গেলে ওসি হুমায়ন কবির বিষয়টি অস্বীকার করেন।

নিখোঁজদের স্যান্ডেল সোনাগাজী মডেল থানায় গিয়ে দেখা যায়, নিখোঁজদের স্বজনরা থানার ভেতরে আহাজারি করছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার পর থেকে প্রতিদিনই তারা থানা চত্বরে আহজারি করে বেড়াচ্ছেন।  

নিখোঁজ যুবদল কর্মী আজিজুল হক দাউদের স্ত্রী আফরোজা বেগম জানান, তার স্বামী স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং পেশায় একজন দিনমজুর। ওমর ফারুক মোহন তার মামা। শনিবার পুলিশ দুজনকেই রামচন্দ্রপুর গ্রামের কামলা বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবিরের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জমান বলেন, বিষয়টি তিনি মাত্রই জেনেছেন এবং খোঁজ নেওয়া শুরু করেছেন।

/বিএল/