চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপন

Chandpur Advance pic 2সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের মতলব উত্তর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, কচুয়া উপজেলার প্রায় ৪০ গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। চাঁদপুরের সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা গত ৮৮ বছরধরে একদিন আগেই ঈদ পালন করে আসছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১২টি গ্রামের ১১টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রত্যেকটি স্থানেই পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছে।

আজ রবিবার সকাল ১০টায় ফরিদগঞ্জের বদরপুর এলাকায় ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা আবদুল হানিফ।

জেলার যেসব গ্রামে একদিন আগে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এছাড়াও চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইছহাক খান আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু স্থানীয় গ্রামবাসী অসহযোগিতা করলে সে উদ্যোগ ভেস্তে যায়। দেশের সরকারি নিয়মের বাইরে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ গ্রহণের কারণে সেসময় মাওলানা খানকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান মাওলানা খান ওই বছরই চলে যান নিজ গ্রাম ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাদ্রায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর রীতিনীতি অনুযায়ী ধর্ম-কর্ম পালনের জন্য প্রথমে তিনি নিজ গ্রামে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন। গ্রামের অসহায়, দুঃস্থ মুসলমানদের প্রচুর আর্থিক সাহায্য দিয়ে আরব দেশগুলো সঙ্গে সংগতি রেখে একদিন আগে ঈদসহ সব রকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনের প্রথা চালু করেন।

/বিএল/