সোনালি আঁশে স্বপ্ন দেখছে কৃষক

পাট ক্ষেত

পাট এক সময় সোনালি আঁশ নামেই সর্বাধিক পরিচিত ছিল। পাটের এখন আর সেই সুদিন নেই। তারপরও এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে দেশি, কেনাফ, তোষা ও মেস্তা জাতের পাটের আবাদ করা হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর পাটের ভালো হলেও দাম পায়নি কৃষক। এ বছর পাটের দাম ভালো পাবেন এমনটাই আশা করছেন পাট চাষিরা।

মহিউদ্দিন নগরের পাটচাষি কতুব উদ্দিন বলেন, ‘গত বছর ১০ কানি জমিতে (৩ একর) পাট করছিলাম। দাম পাই নাই তাই এবার এক কানি ক্ষেতে পাট লাগাইছি। সরকারও পাটের বাজার দর কত আমডারে আগে ভাগে কয় না। এবার দাম পেলে সামনে বাড়াইয়া করুম।’

Jut-4

শুধু কতুব উদ্দিনই নয়, একই কথা বললেন নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা গ্রামের পাটচাষি আব্দুল আলী, নোয়াব আলী এবং রাধা মোহন দাস। তারা বলেন, ‘গেরামের দালাল ফরিয়ারা আমডার কাছ থেকে হাজার-১২শ’ টাকা দরে প্রতিমণ পাট কিনন্যা নেয়। জমাইয়া রাইখ্যা হেরা লাভবান অয়। আমডার কমদামে পাট বেইচ্চা পুরা লোকসান। সরকার আগে থেকে পাটের ন্যায্য মূল্য অন্তত ২ হাজার থেকে ২২শ’ টাকা নির্ধারণ করলে কৃষকেরা লাভবান হতো।’

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু নাছের জানান, পাটের আগাম বাজার মূল্য নির্ধারণের জন্যে তাদের পক্ষ থেকে সরকারকে অবগত করা হবে। তবে এ বছর কৃষক লাভবান হবে বলে দাবি কৃষি বিভাগের।

Jut-3

পাটের বাজার মূল্য সর্ম্পকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হরিলাল চন্দ্র দেবনাথ জানান, পাটের উৎপাদন বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে পাটের আগাম বাজার মূল্য নির্ধারণ করা খুব জরুরি। গত বছর পাটের দাম না পাওয়ার কারণে কৃষকেরা পাটের আবাদ কমিয়ে দিয়েছে। পাটের ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকেরা আবারও পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে। নইলে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা ফায়দা লুটবে। 

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছর ৩ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে থেকে অন্তত ৩৬ হাজার ৩৫৭ বেল পাট উৎপাদন করা সম্ভব হবে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

 

/এসটি/