মামলার এজাহারে শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ইমতিয়াজ মাহমুদ পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার একটি বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক পোস্ট দেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাসিন্দাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর লক্ষ্যে পোস্টগুলো দেওয়া হয়েছে। এতে বাঙালি জাতিকে হেয় করে ‘সেটলার’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
মামলায় ইমতিয়াজ মাহমুদের ফেসবুক পোস্টগুলো পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর জন্য পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে সম্প্রতি অটুট রাখতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
শফিকুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তার বাবা-মায়ের বিয়ে এখানে হয়েছে। তারা সাত ভাইবোন এখানে জন্মগ্রহন করেছেন। তিনি সাত ভাইবোনের মধ্যে ষষ্ঠ। তার বড় বোনের বয়স প্রায় ৫০ বছর এবং তার বয়স প্রায় ৩০ বছর। কেউ তাদেরকে হেয় করে উক্তি করলে এটা কোনোভাবে মানা যায় না।’ মানসম্মানহানী এবং সাম্প্রদায়িকতার বিস্তারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর জন্যই তিনি এ মামলা করেছেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ির বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় মামলা করেছেন। মামলা নং ১৭। তদন্ত করে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
/বিএল/এফএস/