সাজেকে আটকা পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক

খাগড়াছড়ি রিজিয়নের বাঘাইহাট জোনের সেনা সদস্যদের সহযোগীতায় রাঙামাটির সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরতে শুরু করেছেন। গত তিন দিনের টানা বর্ষণে বাঘাইহাট বাজার ও গংগারাম মুখ এলাকায় পানি উঠায় প্রায় ৫০০ পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, রবিবার দুপুরের দিকে সব পর্যটককে পর্যায়ক্রমে নৌকা দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে তারা বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে করে খাগড়াছড়ি হয়ে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করায় তিনি সেনা সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আটকে পড়া পর্যটক রাহনুমা ইয়াসমিন জানান, গত ১০ তারিখে তারা ঢাকা থেকে সাজেক গিয়েছিলেন। তিন দিন ধরে আটকে থাকায় টাকা পয়সাও প্রায় শেষ হয়ে গেছে। আজ  সেনাবাহিনী তাদের নৌকায় করে ওপার থেকে এপারে এনে দিয়েছে। তিনি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন এখন কোনও ভাবে ঢাকা যেতে পারলে হয়।

হাসনাইন আহমেদ বলেন গত বৃহস্পতিবার তিন বন্ধু মিলে ঢাকা থেকে এসেছেন। লক্ষ্য ছিল শনিবার রাতে ঢাকায় ফিরে রবিবার অফিস করবেন। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে রবিবার অফিস করা হলো না। আজ  সেনাবাহিনী তাদের উদ্ধার করেছেন। আজ  রাতেই তারা খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা রওনা হবেন।

সাজেকে অবস্থিত হোটেল অধরা’র মালিক অনিমেষ চাকমা রিংকু বলেন, সাজেকে সব মিলিয়ে ৬০টির মতো হোটেল-মোটেল-রেস্ট হাউস আছে। এখানে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০০-২০০০ পর্যটক থাকতে পারেন। সব পর্যটক চলে যাওয়ায় সব হোটেল, মোটেল ও রেস্ট হাউস খালি। রাস্তাঘাট ঠিক হলে হয়তো আবারও পর্যটক পাবেন। কিন্তু সেই পর্যন্ত তাদের ক্ষতি গুনতে হবে। 

সাজেকে অবস্থিত আরেক হোটেল মৈত্রী’র ম্যানেজার কোয়েল তালুকদার জানান, পর্যটক না থাকায় হোটেলগুলো প্রাণহীন। সব হোটেল মিলে গড়ে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়বে। রাস্তাঘাট দ্রুত স্বাভাবিক হোক এটাই এখন তাদের চাওয়া।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: ঈশ্বরগঞ্জে বিধবাকে গণধর্ষণের ঘটনায় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি