এদিকে ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পদ্মা-মেঘনা বেষ্টিত এ এলাকাটি খুবই ভাঙন প্রবণ হওয়ায় আপাতত তাদের কিছুই করার নেই।
রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী জানান, বুধবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত গড়ে এক হাজার ফিট এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভিটেহারা হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০ পরিবার। তারা তাদের ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। আবার অনেকে নিজের বসতঘরও রক্ষা করতে পারেননি।
ভাঙনকবলিত লোকজন জানান, জোয়ার শেষে ভাটা শুরুর সময়টাতেই ভাঙন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আবারও ভাঙন শুরু হয়।
তারা বলছেন, আমরা কোনও ত্রাণ চাই না। আমরা চাই আমাদের ভিটে রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। এলাকার ভাঙন ঠেকাতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, এসিল্যান্ডসহ কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কর্মকর্তারা চিড়া-গুড় বিতরণ করেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের পক্ষ থেকে কিছু ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পওর বিভাগের অধীনে যেসব প্রকল্প আছে সেগুলোই আমরা দেখছি। এসব প্রকল্পের অনেক এলাকাতেই সমস্যা হচ্ছে সেগুলো নিয়েই আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’
তিনি জানান, আজকে গোয়ালন্দ ঘাটে পদ্মার ডেঞ্জার লেভেল ছাড়িয়ে গেছে। বন্যার পানির কারণে চাঁদপুর অঞ্চলে পানির চাপ বেড়েছে। চাঁদপুরে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ৩ দশমিক ৬৩, দুপুর ১২টায় ৩ দশমিক ৭৭ মিটার পানির লেভেল ছিল। এখানে ডেঞ্জার লেভেল ৪ মিটার।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। নদীর অবস্থা খারাপ। যে কোনও মুহূর্তে আরও খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘সেখানে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের লোকজন ওই এলাকায় আছে। ঘরবাড়ি হারানো লোকজনের তালিকা করা হয়েছে। তাদের সহায়তা করার জন্য আমরা প্রস্তাব করেছি।’
/বিএল/
আরও পড়ুন:
গাইবান্ধায় মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন বন্যাদুর্গত ৪ লাখ মানুষ