৬৮ দিন পর রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে বাস চলাচল শুরু

৬৮ দিন পর রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে বাস চলাচল শুরুপাহাড় ধসে অচল হওয়ার ৬৮ দিন পর আজ সোমবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ফের সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের দেপ্প্যছড়ি এলাকায় দেড়শ ফুট সড়ক ধসে প্রায় তিনশ ফুট নীচে চলে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে পাহাড় ধসের এক সপ্তাহ পর ২১ জুন বিকল্প সড়ক তৈরি করে হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হলেও ভারী যানচলাচল বন্ধ ছিল। ফলে গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বিপাকে ছিল এই জেলার মানুষ।


পরিবহন শ্রমিক/বাস কাউন্টারের কর্মী মো. মোতালেব হোসেন বলেন, শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পরিবহন সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে সব শ্রেণিপেশার মানুষ। পরিবহন শ্রমিকদের কষ্টও ছিল অনেক। তাই বাস চালু হওয়ায় খুশি তারা।
পৌরসভার টোলআদায় কেন্দ্রের ইজারাদার আবু তৈয়ব বলেন, ‘রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের দেপ্প্যছড়ি শালবাগান এলাকায় ধসে পড়া সড়কটিতে গত দুইমাস ধরে একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করার পর আজ শুরু হলো বাস, ট্রাকসহ ভারী যানচলাচল। আজ সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বেইলি সেতুর ওপর দিয়ে ভারী যানচলাচল।’
রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা অস্থায়ী সংযোগ তৈরি করি সেখান দিয়ে শুধু হালকা যান চলছিল। পরে ২৬ জুন থেকে আমরা এই ব্রিজটি নির্মাণ শুরু করি।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা ১৫ টন পর্যন্ত ভারী গাড়ি চলাচল করতে দেবো।এই সেতু দিয়ে ভারী গাছবাহী ট্রাক ছাড়া সব ধরনের যানচলাচল করতে পারবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন পাহাড় ধসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম রোডের শালবন এলাকা থেকে প্রায় দেড়শ মিটার রাস্তা ধসে গিয়ে রাঙামাটির সঙ্গে সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ ছিল। এই ঘটনায় ১২০ জনের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে।