তিনি জানান, শনিবার দুপুরে কক্সবাজার আসছেন বিজিবি’র ডিজি। এখান থেকে হেলিকপ্টারে করে তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে যাবেন। সেখানে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করবেন।
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় দলে দলে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা। সীমান্ত এলাকার লোকজন জানান, ওপাশে হাজার হাজার লোককে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ক্রমাগত গুলির শব্দও পাওয়া যাচ্ছে। তবে অবৈধ অনুপ্রবেশ হচ্ছে না বলে দাবি করা হয়েছে বিজিবি’র পক্ষ থেকে।
মিয়ানমারের তমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন ও অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউনের। তারা জানান, ২৬ আগস্ট ২০১৭ শনিবার দুপুরের পর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ঢেঁকিবনিয়া এলাকায় রোহিঙ্গা মুসলিম গ্রামগুলোতে একযোগে তাণ্ডব চালায় সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী স্থানীয় রাখাইনরা। এতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের বহু মানুষ হতাহত হন। প্রাণ বাঁচাতে বিকালের পর থেকে সীমান্তের দীর্ঘ প্রায় ২০ কিলোমিটার জুড়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে চেষ্টা চালান। বিজিবি-সহ স্থানীয় প্রশাসনকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে রীতিমত হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন- মিয়ানমারে নতুন করে ধরপাকড়, বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের স্রোত